রূপালি পর্দায় চৌখস অভিনয়ের পাশাপাশি ভারত নাট্যম, কথাকলি, মণিপুরি সহ ক্লাসিকাল ডান্সে সিদ্ধ হস্ত লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজের শিল্প কলায় অসামান্য প্রতিভার জোরে কালাকার অ্যাওয়ার্ড সহ ২০১৩ সালে মুক্তি প্রাপ্ত বাংলা সিনেমা ‘নায়িকা সংবাদ’ এ সাপোর্টিং রোলে সেরা অভিনয়ের জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে নমিনেশন পেয়েছিলেন। তার ঝুলিতে আছে মায়ের আঁচল (২০০৩), পরিবার (২০০৪), চাঁদের বাড়ি (২০০৭), ফাইটার (২০১১), বাই বাই ব্যাংকক (২০১১), গোসাইবাগানের ভূত (২০১১), ফাইটার (২০১১), খোকাবাবু (২০১২), চোরা বালি (২০১২), ও হেনরি (২০১৩), কাপুরুষ মহাপুরুষ (২০১৩), গোগোলের কির্তী (২০১৪), কিরীটী রায় (২০১৬) সহ বহু পপুলার সিনেমা।
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের পরিবারের মেয়ে লকেটের শৈশব কেটেছে দক্ষিণেশ্বরে৷ মুলত মায়ের জন্যই খুব ছোট থেকেই নৃত্য শিল্পে তালিম ৷ মাত্র ১৬ বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় ! তবে ছোট থেকেই জেদি এই মেয়েটা কিন্তু বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন পুরোদমে। নাচের পাশাপাশি অভিনয় ছিল তার প্যাশন, তাই পড়াশোনা শেষ করতে না করতেই ঢুকে পরলেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। কোনোরকম অভিনয় শিক্ষা ছাড়াই নিজের অসামন্য অভিনয় দক্ষতার জোড়ে স্বপন সাহা, তরুন মজুমদার, রিঙ্গো ব্যানার্জি, অনিকেত চ্যাটার্জী, রবি কিনাগী, রাজা চন্দ, বিরসা দাশগুপ্ত সহ তাবর তাবর পরিচালকদের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০১৫ সালে সিলিকন ভ্যালিতে অনুষ্ঠিত ফেস্টিভাল অফ গ্লোবে তার সিনেমা ‘কাল্কিযুগ’ ও ‘একটা ঝুমুর’ প্রশংসিত হয়। চা প্রিয় আর মাছে ভাতে বিলাসি লকেট নিজেকে ফিট রাখতে প্রতিদিন সকালে যোগ ব্যায়াম ও প্রানায়াম করেন।
মানুষের জন্য কিছু করার জন্য ২০১২ সালের আগে থেকে রাজ্য রাজনীতির আঙীনায় বিচরন করছেন। প্রথমে শাসক দলের হয়ে কাজ করলেও পরবর্তী কালে আদর্শ গত মতবিরোধের জন্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। কারন তিনি বরাবরই এই তত্বে বিশ্বাসি যে মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতি করা উচিত। এই কারনে দির্ঘ দিন তিনি প্রচুর লড়াই চালিয়ে গেছেন আর সে জন্যই আজকে তিনি শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের বিপুল সমর্থন পেয়েছেন। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বিনোদন জগতে প্রতিষ্ঠিত লকেট চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন আরো অনেক চ্যালেঞ্জিং হল। ছোট থেকেই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন এই মানুষটি এবারে কিভাবে এগোন এখন সেদিকেই সকলে তাকিয়ে আছেন।