অনেক অনেক আশা উৎসাহ হতাশা নিয়ে শেষ হল গেম অফ থ্রোন্স ৷ শেষ হয়ে গেল ল্যানিস্টার পরিবার৷ বেঁচে থাকলো একমাত্র টিরিয়ন তার বুদ্ধিবলে। ইতিহাস কাঁপানো এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পিটার ডিক্লেজ৷ আজ তাকে নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করা যাক। ‘গেম অফ থ্রোন্স’–এ টিরিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করে তিনটি ‘এমি’, একটি ‘গোল্ডেল গ্লোব’ জেতা অভিনেতা হল ডিক্লেজ৷ নিউ জার্সির মরিজটাউনে ‘অ্যাকন্ড্রোপ্লেজিয়া’ নিয়ে ১৯৬৯ সালের ১১ জুন পিটারের জন্ম হয়েছিল। যে রোগ হাত–পায়ের হাড়ের বৃদ্ধি রুখে দেয়। বিমাবিক্রেতা বাবা, সঙ্গীতশিক্ষিকা মা, বেহালাবাদক দাদা বা বংশের অন্য কেউ কখনও বামনত্বের ‘শিকার’ হননি। ছোটবেলায় এটা ভাবতেই খারাপ লাগত পিটারের। দাদা জোনাথনের পুতুল নাচের আসরে কাজ করতেন তিনি। তখনই ঠিক করেন তিনি অভিনেতা হবেন। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘দ্য ভেলভিটিন র্যাবিট’ নাটকের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসা পাওয়া থেকে শুরু। ১৫ বছর বয়সে ‘ট্রু ওয়েস্ট’ নাটক দেখে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার ‘দুঃসাহস’ করেন পিটার। স্কুলের পাঠ শেষ করে ভর্তি হন বেনিংটন কলেজে। বিষয়? অবশ্যই নাটক। অভিনয়। তখনই ‘হুইজি’ নামে এক ব্যান্ডে শখের গান গাওয়া শুরু করেন পিটার।
৯১ সালে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নিউইয়র্কে পারি দেন পিটার। যাবতীয় আরাম, আয়েশকে পিছনে ফেলে একটা ছোট্ট ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে পথচলা শুরু। শীতে ঘর গরম করার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ইঁদুরের উপদ্রবে ফ্ল্যাটে বিড়াল পুষতে হয়েছিল তাঁকে। শেষে অবশ্য ভাড়া মেটাতে না পেরে ফ্ল্যাটটা ছেড়ে দিতে হয়। এমন নয় যে, অভিনয়ের কোনও সুযোগ আসছিল না। কিন্তু পিটার তা গ্রহণ করছিলেন না। কারণ, তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে দৃঢ় ছিলেন যে, তাঁর বামনত্বকে ছোট করে দেখানো হবে বা ওই একই ধরনের বেঁটে চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব এলে তিনি তা কখনওই করবেন না।
১৯৯৫ সালে লিভিং দ্য অবলিভিয়ন নামক ছবিতে কাজ করেন। এরপর ২০০১থেকে ২০১০ অবধি অনেকগুলি সিনেমায় ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করার পর জীবনে সবথেকে বড় ব্রেক আসে ২০১১ তে গেম অফ থ্রোন্সে। এছাড়া অ্যাভেঞ্জারস এর মত বিগ বাজেটের ছবিতেও তাকে দেখা গেছে। কিন্তু টিরিয়নই তাকে দান করেছে অমরত্ব।