
নেতা হওয়ার জন্য সব চেয়ে জরুরী কী? সামাজিক সচেতনতা? সামাজিক উন্নয়নের প্রতি নিজস্ব অবদান? নাকি কেবলমাত্রই কিছু কমার্শিয়াল ছবিতে নিজের মুখ দেখানো ! দুহাজার উনিশ লোকসভা ভোটের প্রার্থীদের তালিকা যেই মুহূর্তে ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার, সেই মুহুর্ত থেকে এই প্রশ্ন বাংলার আমজনতার কাছে ভীষণ প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে! ঘাটালে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রার্থী হিসাবে উঠে এল দীপক অধিকারী ওরফে দেবের নাম ! বীরভূম থেকে দ্বিতীয়বার তৃণমূল প্রার্থী হলেন শতাব্দী রায়। আসানসোলে প্রার্থী হলেন মুনমুন সেন, বসিরহাটে নুসরত জাহান আর যাদবপুরের মতো একটা কালচারাল হাভে মিমি চক্রবর্তী ! নেতা হওয়ার প্রশ্ন আসে অনেক পরে,এখন জনগণের একাংশ এই প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে যে অভিনেতা হিসেবেই কী এই সো কলড অভিনেতারা সফল ? স্যোশাল মিডিয়া তোলপাড়, বিরূপ মন্তব্যে, ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিওতেও উঠে আসছে মন্তব্যের ঝড় ! মজার ব্যাপার হলো কট্টর তৃণমূলপন্থীরা কিন্তু অবাক ভাবেই এত কিছুর মধ্যে মূখে কুলুপ এঁটেছেন ! মানুষের প্রশ্নের বাণ ভীষণ রকম কঠোর ! দেবের অভিনয় ক্ষমতা সম্পর্কে প্রশ্ন চিহ্ন আজকে নতুন নয়, আপত্তি চরমে উঠেছে, মিমি ও নুসরতের প্রার্থী হওয়া নিয়ে!অনেকেই অবাক যাদবপুরের মতো একটা গুরুত্বপুর্ণ সিটে মিমি চক্রবর্তীর প্রার্থী হিসেবে নাম উঠে আসায়। বিষয়গুলো খুব বিতর্কিত, কিন্তু মানুষ এমন মন্তব্য করতে থেমে থাকে নি ! সমাজে কোনো অবদান ছাড়াই, কেবল বাঙলা ছবিতে মুখ দেখাতে পারলেই কী তবে এবার থেকে ভোটের টিকিট পাওয়া যাবে? উঠে আসছে এমন প্রশ্নও ! এরা জন প্রতিনিধি হিসেবে কতটা কাজ করেছেন এর আগে, বা কতটা করবেন তা বড় কথা নয়, তবে অধিকাংশ মানুষই যে মুখ্যমন্ত্রীর দলের এমন সিদ্ধান্তে বেশ হতবাক হয়ে গেছেন, অবাক হয়েছেন, ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা বিষয়ে ভ্রু কুঁচকে উঠেছেন তা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে !
তবে সোশ্যাল মিডিয়া এই প্রসঙ্গে যতই মেতে থাকুক দুই প্রাথী কিন্তু তাদের রাজনৈতিক ইনিংস নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী , অভিনেত্রী হওয়ার সাথে সাথে জন নেত্রী হওয়ার বেশ কিছু দৃষ্টান্ত ভারতীয় রাজনীতিতে হামেশাই ঘটেছে আর সেই হিসাবে দেখলে কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয় । তবে আপাতত এই সব কিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে ইতিমধ্যেই মিমি ও নুসরাত নেমে পড়েছেন ভোট প্রচারে , সাড়াও মিলেছে বেশ ভালোই অপর দিকে ঘাটালের প্রিয় সাংসদ দেব যে আরও একবার নিজের শক্ত জমি পুনুরুদ্ধার করে নিতে সক্ষম হবে সেই ব্যাপারে এখনই অনেকেই নিশ্চিত । বাকি তর্ক বিতর্কটা তোলা থাকে ভোট বাক্সের জন্য ।